স্বর্ণ সবসময়ই বিলাসিতা, অর্থনৈতিক স্থিতি এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে স্বর্ণের মাপজোকের জন্য “তোলা” এবং “ভরি” অত্যন্ত প্রচলিত দুটি একক। কিন্তু অনেকেই জানেন না, সঠিকভাবে এই এককগুলোর মধ্যে সম্পর্ক কী এবং কীভাবে হিসাব করতে হয়।
সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ সমান কত ভরি—এই প্রশ্ন প্রায়ই স্বর্ণ ক্রেতাদের মনে আসে, বিশেষত যখন জুয়েলারি বা অন্যান্য স্বর্ণালঙ্কার কেনা-বেচার প্রসঙ্গ উঠে। এই নিবন্ধে আমরা তোলা এবং ভরির মধ্যে সম্পর্ক, সাড়ে সাত তোলার সঠিক মান, এবং বাংলাদেশে এর ব্যবহারিক দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা করব।
তোলা ও ভরি: স্বর্ণ পরিমাপের মূল একক

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে স্বর্ণ মাপার জন্য “তোলা” এবং “ভরি” খুবই প্রচলিত দুটি একক। এগুলো মূলত ঐতিহ্যবাহী মেট্রিক পদ্ধতির বাইরে থাকা স্থানীয় পরিমাপ পদ্ধতির অংশ।
তোলার সংজ্ঞা
“তোলা” একটি প্রাচীন ওজন একক, যা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানে ব্যবহৃত হয়। ১ তোলা সমান প্রায় ১১.৬৬৬ গ্রাম। এটি স্বর্ণ, রূপা এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর ওজন মাপার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
ভরির সংজ্ঞা
“ভরি” দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যবহৃত আরেকটি জনপ্রিয় ওজন একক। ১ ভরি সমান ১১.৬৬৬ তোলা। অর্থাৎ ভরি এবং তোলার মধ্যে সরাসরি একটি নির্দিষ্ট অনুপাত রয়েছে, যা হিসাব করা সহজ করে তোলে।
তোলা ও ভরির সম্পর্ক
তোলা এবং ভরির সম্পর্ক সহজ এবং সরল।
- ১ ভরি = ১১.৬৬৬ তোলা।
- ১ তোলা = ১১.৬৬৬ ভরি।
এই হিসাবের মাধ্যমে যেকোনো তোলা বা ভরিকে একে অপরের মধ্যে রূপান্তর করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার কাছে ৭.৫ তোলা স্বর্ণ থাকে, তবে তা ভরিতে রূপান্তর করা যাবে।
স্বর্ণ পরিমাপে এই এককগুলোর গুরুত্ব
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় স্বর্ণ কেনা-বেচার সময় মূলত তোলা ও ভরি ব্যবহৃত হয়। এর ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের জন্য এটি একটি প্রচলিত এবং গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে গ্রাম ও আউন্সের মতো একক বেশি ব্যবহৃত হয়, স্থানীয় বাজারে তোলা ও ভরি এখনো প্রচলিত।
তোলা এবং ভরির সঠিক জ্ঞান থাকলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য স্বর্ণ পরিমাপের সময় ভুল বা বিভ্রান্তি এড়ানো যায়।
স্বর্ণের বাজারে এই হিসাবের ব্যবহার
স্বর্ণের বাজারে “তোলা” এবং “ভরি” ব্যবহারের একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে, যা বিশেষত বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বর্ণের লেনদেন, মূল্য নির্ধারণ, এবং অলংকার নির্মাণে এই মাপজোখের ব্যবহার দেখা যায়।
১. স্বর্ণ কেনা-বেচায় তোলা ও ভরির ব্যবহার
স্বর্ণ কেনা-বেচার সময় তোলা ও ভরি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম সাধারণত প্রতি ভরি হিসাবে নির্ধারণ করা হয়।
- বিক্রেতারা অলংকার বা স্বর্ণের গয়নার মোট ওজন তোলা বা ভরিতে প্রকাশ করেন।
- ক্রেতারা সহজে তোলা থেকে ভরি বা গ্রামে রূপান্তর করে স্বর্ণের মোট মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন।
২. অলংকার নির্মাণে স্বর্ণের ওজন নির্ধারণ
তোলা ও ভরির হিসাব অলংকার নির্মাণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- জুয়েলারি ডিজাইনাররা গয়নার ওজন তোলা বা ভরিতে মেপে কাজ শুরু করেন।
- প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত স্বর্ণ যোগ বা অপসারণ করার হিসাবও এই এককগুলোর ভিত্তিতে হয়।
৩. স্বর্ণের বিশুদ্ধতার যাচাই
তোলা ও ভরির ভিত্তিতে স্বর্ণের বিশুদ্ধতা যাচাই সহজ হয়।
- ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট বা ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ও ওজন নির্ধারণ তোলা ও ভরির মাধ্যমে করা হয়।
- নির্দিষ্ট ক্যারেট অনুযায়ী কাস্টমাইজড স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণে এই এককগুলো কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
৪. বাজারে স্বচ্ছতার গুরুত্ব
স্বর্ণের ব্যবসায় তোলা ও ভরির হিসাব সঠিক থাকলে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
- অনেক সময় ওজনের ভুল হিসাবের কারণে ক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।
- তোলা ও ভরির সঠিক হিসাব নিশ্চিত করতে ডিজিটাল স্কেল বা প্রথাগত মাপজোখ ব্যবহার করা হয়।
৫. আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময় ও বাজারদর নির্ধারণ
বাংলাদেশের স্বর্ণের বাজারে আন্তর্জাতিক বাজারদরের সাথে সঙ্গতি রাখতে তোলা ও ভরির ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ।
- প্রতি ভরির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স বা প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্যের উপর নির্ভর করে।
- এই রূপান্তর প্রক্রিয়া তোলা ও ভরির হিসাবকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলে।
তোলা ও ভরি কেবল স্বর্ণের ওজন পরিমাপের মাধ্যম নয়; এটি স্বর্ণ ব্যবসায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাজারে স্বর্ণের সঠিক দাম, গুণমান এবং ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বিশ্বাস তৈরিতে এই এককগুলোর সঠিক ব্যবহার অপরিহার্য।
বাংলাদেশে তোলা ও ভরির প্রচলিত প্রথা
বাংলাদেশে স্বর্ণের ব্যবসায় তোলা ও ভরি ওজন পরিমাপের সবচেয়ে প্রচলিত একক। দেশের ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়িক কার্যক্রমে এই এককগুলো শত বছর ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। স্বর্ণের লেনদেন ও মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে এগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম।
১. ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা
তোলা এবং ভরির ব্যবহার বাংলাদেশের স্বর্ণের বাজারে একটি ঐতিহ্যগত প্রথা।
- প্রাচীনকাল থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে স্বর্ণ পরিমাপের জন্য তোলা এবং ভরি ব্যবহার হয়ে আসছে।
- স্থানীয় বাজারে স্বর্ণের লেনদেন সহজ এবং ক্রেতাদের কাছে পরিচিত রাখতে এই এককগুলো প্রচলিত রয়েছে।
২. সরকারি মানদণ্ড
বাংলাদেশে সরকারিভাবে স্বর্ণের পরিমাপের জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে।
- ১ ভরি সমান ১১.৬৬৬ তোলা (যা প্রায় ১১.৬৬৬ গ্রাম)।
- এই মানদণ্ড অনুসরণ করে দেশের সব স্বর্ণ ব্যবসায়ী তাদের পণ্য বিক্রি করেন।
৩. স্থানীয় বাজারের ব্যবহারিক দিক
তোলা ও ভরির মাধ্যমে স্বর্ণ কেনা-বেচা বাংলাদেশের বাজারে খুবই সাধারণ।
- গ্রাহকরা সরাসরি প্রতি ভরি বা প্রতি তোলার মূল্যে স্বর্ণ কেনেন।
- অলংকারের ক্ষেত্রে স্বর্ণের পরিমাণ ও ডিজাইনের জন্য ভরির হিসাব করা হয়।
৪. জুয়েলারি শিল্পে তোলা ও ভরি
বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পে তোলা এবং ভরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- অলংকার নির্মাণের সময় সঠিক ওজন নিশ্চিত করতে এই এককগুলো ব্যবহৃত হয়।
- অলংকার তৈরিতে ব্যবহৃত স্বর্ণের দাম নির্ধারণও তোলা ও ভরির ভিত্তিতে করা হয়।
৫. দাম নির্ধারণে প্রভাব
স্বর্ণের বাজারে তোলা ও ভরির হিসাব দাম নির্ধারণে সরাসরি প্রভাব ফেলে।
- আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি ভরি বা প্রতি তোলার দাম প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়।
- স্থানীয় জুয়েলারি দোকানগুলো এই পরিবর্তন অনুযায়ী মূল্য তালিকা প্রকাশ করে।
৬. গ্রাম ও আউন্সের সাথে তুলনা
আন্তর্জাতিক বাজারে গ্রাম এবং আউন্সে স্বর্ণ পরিমাপ হলেও বাংলাদেশে তোলা ও ভরির ব্যবহার বেশি।
- গ্রাহকদের জন্য তোলা ও ভরি সহজ এবং পরিচিত।
- তবে বড় স্বর্ণ কেনাবেচার সময় গ্রামে পরিমাপের প্রয়োজন হতে পারে।
তোলা এবং ভরি বাংলাদেশের স্বর্ণ বাজারে কেবলমাত্র পরিমাপের একক নয়, এটি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। সরকারি মানদণ্ড অনুযায়ী এবং স্থানীয় ব্যবসার প্রয়োজন মেনে এই এককগুলো এখনো প্রচলিত রয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তোলা ও ভরির সঠিক ব্যবহার অপরিহার্য।
স্বর্ণের আন্তর্জাতিক পরিমাপের একক: গ্রাম ও আউন্স
স্বর্ণের পরিমাপে স্থানীয় বাজারে তোলা ও ভরি প্রচলিত হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে মূলত গ্রাম (gram) এবং আউন্স (ounce) ব্যবহার করা হয়। এগুলো বৈশ্বিক মানদণ্ড হিসেবে স্বীকৃত, যা স্বর্ণের ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১. গ্রাম: একটি বৈশ্বিক একক
- গ্রাম মেট্রিক সিস্টেমের অংশ এবং বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এটি একটি পরিচিত ওজন পরিমাপের একক।
- ১ গ্রাম = ০.০৮৫৭৬৭ ভরি।
- স্বর্ণের ব্যবসায়, বিশেষত ডিজিটাল ও আন্তর্জাতিক লেনদেনে গ্রাম ব্যবহার সহজ এবং গ্রহণযোগ্য।
২. আউন্স: আন্তর্জাতিক মান
- আউন্স হল আন্তর্জাতিক স্বর্ণ ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ একক।
- ১ আউন্স (ট্রয় আউন্স) সমান ৩১.১০৩৫ গ্রাম।
- এটি আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণের মূল ভিত্তি।
৩. গ্রাম ও আউন্সের প্রয়োজনীয়তা
- স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণ কেনা-বেচার সময় গ্রাম ও আউন্সের ব্যবহার একে অপরের পরিপূরক।
- বড় লেনদেন বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্বর্ণের পরিমাণ আউন্সে নির্ধারণ করা হয়।
- অলংকারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্টতা নিশ্চিত করতে গ্রাম ব্যবহার করা হয়।
৪. তোলা, ভরি, এবং গ্রাম/আউন্সের সম্পর্ক
- তোলা ও ভরি মূলত দক্ষিণ এশিয়ার স্থানীয় একক, যা আন্তর্জাতিক এককের সাথে রূপান্তর করা সম্ভব।
- ১ ভরি = ১১.৬৬৬ গ্রাম।
- ১ আউন্স = প্রায় ২.৬৭৩ ভরি।
- রূপান্তরের এই হিসাব আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে স্থানীয় বাজারের সম্পর্ক স্থাপন করে।
৫. আন্তর্জাতিক বাজারে দাম নির্ধারণে ভূমিকা
- স্বর্ণের দাম সাধারণত প্রতি আউন্স হিসেবে নির্ধারণ করা হয় এবং এটি মার্কিন ডলারে প্রকাশ করা হয়।
- স্থানীয় বাজারে এই দামকে গ্রামে বা ভরিতে রূপান্তর করে স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
- বাংলাদেশে গ্রাহকরা প্রতি ভরির দামে স্বর্ণ কেনেন, যা আন্তর্জাতিক মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারিত হয়।
৬. বাংলাদেশে গ্রাম ও আউন্সের ব্যবহার
- বড় স্বর্ণ লেনদেন বা আন্তর্জাতিক ব্যবসার ক্ষেত্রে গ্রাম ও আউন্স বেশি ব্যবহৃত হয়।
- স্থানীয় অলংকার দোকানগুলোও ডিজিটাল স্কেলে গ্রাম ব্যবহার করে ওজন নির্ধারণ করে।
- বিনিয়োগকারী বা রপ্তানিকারকদের জন্য আউন্সের ব্যবহার অপরিহার্য।
গ্রাম ও আউন্স স্বর্ণ পরিমাপের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে তোলা ও ভরির পাশাপাশি গ্রাম এবং আউন্সের ব্যবহার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। স্বর্ণের লেনদেনে সঠিক রূপান্তর ও হিসাব নিশ্চিত করতে এই এককগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ আজকের সোনার দাম কত | ২২, ২১ ও ১৮ ক্যারেট | Gold Price in Bangladesh
উপসংহার
তোলা ও ভরি বাংলাদেশের স্বর্ণের বাজারে প্রাচীন এবং প্রতিষ্ঠিত পরিমাপ পদ্ধতি, যা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। তবে আন্তর্জাতিক লেনদেন ও বাজারদরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রাম ও আউন্সের গুরুত্বও বাড়ছে। সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ সমান কত ভরি—এই প্রশ্নের উত্তর জানার মাধ্যমে ক্রেতারা আরও সচেতন হতে পারেন এবং সঠিকভাবে স্বর্ণ কেনা-বেচার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে তোলা ও ভরির প্রচলন এখনো বেশ জনপ্রিয় থাকলেও, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করার জন্য গ্রাম ও আউন্সের সঠিক জ্ঞানও অপরিহার্য। সঠিক পরিমাপ ও মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
স্বর্ণ নিয়ে FAQ (প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন):
৭.৫ তোলা স্বর্ণ কত ভরি?
সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণের মান ভরিতে ৭.৫ ভরি। (১ ভরি = ১১.৬৬৬ তোলা হিসাব ধরে)।
১ ভরি স্বর্ণ কত গ্রাম?
১ ভরি স্বর্ণ সমান ১১.৬৬৬ গ্রাম।
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম সাধারণত প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৫ গ্রাম) হিসেবে নির্ধারণ করা হয় এবং তা মার্কিন ডলারে প্রকাশ করা হয়।